সরওয়ার আলম শাহীন::
ঘূর্ণিঝড় “রোয়ানু” বাংলাদেশের উপকূল এলাকা জুড়ে আঘাত হানতে পারে এমন আশংকায় উখিয়া-টেকনাফ উপকূলের হাজার হাজার মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার খবরে সকাল থেকে সাগর উত্তাল থাকায় জলসীমা থেকে মাছ ধরার শত শত ট্রলার উপকূলে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি সভায় ঘুর্নিঝড় মোকাবেলায় করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন জানিয়েছেন। এদিকে উপকূলীয় জালিয়াপালং ইউনিয়নে নির্মিত সবকটি সাইক্লোন সেল্টার ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোছাইন চৌধুরী বলেন, উপকুলের মানুষকে দুর্যোগ মোকাবেলা করতে সচেতন করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাইকিং করে উপকূলের জনসাধারণকে সতর্ক করণ এবং নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। জল যানগুলো নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে। জেলেরা সাগর ছেড়ে উপকূলে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে বলে তিনি জানান। এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর কক্সবাজারকে ৬নং বিপদ সংকেত দিয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন দূর্যোগ মোকাবেলায় ব্যাপক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাঈন উদ্দিন জানান, ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু দূর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে উখিয়ার পাহাড়ে বসবাসকারী জনগনকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য উদ্বেগ নেওয়া হয়েছে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সুত্র জানায়, রোয়ানু ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে উপকূলে ধেয়ে আসার খবরে দূর্যোগ মোকাবেলা করতে জেলা প্রশাসনের ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে যেসব সাইক্লোন সেল্টার স্কুল হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলোকে প্রস্তুত রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসনকে উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে প্রয়োজনীয় নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কক্সবাজার জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নূর আহমদ আনোয়ারী বলেছেন, ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় ...
পাঠকের মতামত